1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

৩০হাজার টাকায় খাদিমনগরে চাঁদাবাজি দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

  • Update Time : সোমবার, ১৮ মে, ২০২০
  • ২০৬ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক:গত ১৫ মে হতে “চেঙ্গেরখাল নদীতে নৌযান হতে চাঁদাবাজি এবং নৌযানে চাঁদাবাজি: অন্তরালে দিলোয়ার চেয়ারম্যান” শিরোনামে সিলেটের স্হানীয় বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় চেয়ারম্যানের মদদে ও ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা ঐ চক্রের চাঁদাবাজীর সংবাদ প্রকাশ হলে এই গোপন বিষয়টি দেশ-বিদেশের সকলের সামনে গোমর ফাঁসের মতন ভেসে উঠে,চোখের সামনে আসে সকলের,এতে বিপাকে পড়েন চেয়ারম্যান ও চাঁদাবাজ চক্র।তারা বিভিন্ন ভাবে সংবাদকর্মীদের মেনেজ করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান।অনেক চেষ্টার পর গতকাল রাতে সংবাদটি প্রথম যে পত্রিকায় প্রকাশ হয় সেই পত্রিকার সম্পাদককে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে ঐ চাঁদাবাজ চক্রের সাথে জড়িত সাহেবের বাজার এলাকার একজন ধান্দাবাজ সংবাদকর্মীকে দিয়ে ৩০হাজার টাকায় দহরম মহরম করে চাঁদাবাজি দামাচাপা দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ক্রাইম সিলেট নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক এই সত্য ঘটনা তুলে ধরলে চাঁদা আদায়কারী শাহ্ জালাল এন্টারপ্রাইজের পরিচালক
টিলাপাড়ার সাইদুল ইসলাম তখন প্রতিবেদকের কাছে “চাঁদা তুলার কথা স্বীকার করে” ইউনিয়নের টেক্স নিচ্ছেন বলে তিনি প্রতিবেদককে জানান। ক্রাইম নিউজ পোর্টালের স্কিনশর্ট নিম্নে দেয়া হলো-

তবে,একি বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক দিগন্তর সিলেটের প্রতিনিধি ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বক্তব্য নিতে চাইলে চেয়ারম্যান নিজেই ফোন রিসিভ করে তা অস্বীকার করেন।এবং প্রেস রিলিজেও চাঁদা আদায়ের বিষয়ে তিনি জড়িত নয় বলে জানান।চাঁদা আদায়কারী চক্রের সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে ও অস্বীকার করেন প্রেস রিলিজে।নিম্নে দৈনিক দিগন্তর পত্রিকার স্কিনশর্ট নিম্নে দেয়া হলো-

 

কথা হলো,পৃথিবীর কেউ কি নিজের দোষ স্বীকার করে? অবশ্যই না।

তথ্য অনুসন্ধান করে জানা গেছে,একটি সত্য ঘটনা দামাচাপা দিতে তারা সব ধরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় প্রেস রিলিজ দিয়ে নিজেকে ফেরেশতা বলে বহি:প্রকাশ করতে মরিয়া হয়ে উঠছেন চেয়ারম্যান ও নৌকা হতে চাঁদা আদায়কারী ঐ চক্র।

আজ সরজমিনে খাদিমনগর ইউনিয়নের চেঙ্গেরখাল নদীর তীর ঘেষে গড়ে উঠা বসতি টুকের গাঁও গ্রামের নৌকা ঘাটে গেলে উঠে আসে অজানা আরো অনেক সত্য ও বাস্তব ঘটনা।

টিলাপাড়া গ্রামের লামা টুকের গাঁওয়ের একজন কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে
জানান,তারা তো ভাই বারো মাসই চাঁদা তুলে,কিন্তু আমরা নিরিহ মানুষ ভাই,ইতা বিষয়ে মাততাম চাইনা।আপনারা যা হুনচইন তা সত্য,পত্র পত্রিকাতে ইতা আইলে তারা আর ঘাটে আয়না,কয়দিন গিয়া সবতা ঠান্ডা অইলে তঅউ আবার আয় তারা।আইন যেন পাকানিত একদিন আইছন বাটে।তও সরজমিনে তারারে পাইবা,ইনো সব তারা আইন।এমন সহজ স্বীকারোক্তি দিলেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে টুকের গাঁও গ্রামের বাসিন্দা।

এই চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন১৫থেকে ২০হাজার টাকা করে কয়েক লক্ষ টাকা
চাঁদা তুলে বলে ধারণা দেন একজন যুবক।তিনি আরো জানান,
নাম কইতে শুধু আমাদের ভয় লাগে,তারা মারধর করবে আমার নাম শুনলে,কিন্তু নিরিহ নৌকার মাঝিদের কান্না দেখলে কষ্ট লাগে ভাই আমাদের,আপনারও কষ্ট লাগবে বলেন প্রতিবেদককে।

এদিকে চাঁদার বিষয়টি ৩নং খাদিমনগর ইউনিয়নে ফ্লাস হলে “টপ অব দ্যা ইউনিয়নে” পরিণত হয়।সম্মান রক্ষা করতে একের পর এক প্রেস রিলিজ দিচ্ছেন দিলোয়ার চেয়ারম্যান।
যেহেতু,নদী,খাল,বিল সিলেট ডিসির সম্পত্তি এবং লিজ দেয়ার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের কোন এখতিয়ার নেই,সেহেতু নিশ্চিত চাঁদা আদায় করাটা একটি অবৈধ কাজ।আর সেই কাজে প্রতিবেদককে ডা.সাইদুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যে চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততার বিষয় পরিষ্কার।সে বিষয়টি দামাচাপা দিতেই একের পর এক প্রেস রিলিজ দিচ্ছেন চেয়ারম্যান এবং চাঁদাবাজ চক্রটি।

ভুক্তভোগী নৌকার মাঝিরা ভাসমান তথা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত হবার ফলে তারা স্হানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করার সাহস ও সুযোগ না পেলেও অন্যায় এবং অবৈধ কাজকে
প্রশ্রয় না দেয়া এলাকাবাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্হা নিতে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..